খবরের বিস্তারিত...

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ

ঢাকায় ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর গোলটেবিল বৈঠকে উগ্র সালাফীদের নিষিদ্ধ করার দাবী

জুলাই 16, 2016 সাংগঠনিক খবর

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী বলেছেন, জঙ্গিবাদী জামাত শিবির ও উগ্রপন্থী সালাফীদের নিষিদ্ধ না করলে দেশ ও জাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে। তিনি আজ ১৬ জুলাই ২০১৬, শনিবার সকাল ১০ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি গোলটেবিল মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপন্থী সুফিবাদী রাজনৈতিক সংগঠন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর উদ্যোগে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট ও শোলাকিয়ার ঐতিহাসিক ঈদগাহে জঙ্গী হামলা, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে জঙ্গীবাদ প্রচার ও ইসলামের অপব্যাখ্যা, উচ্চবিত্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে জঙ্গীবাদ বিস্তার এবং দ্বীনবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদীদের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধের লক্ষ্যে আজ “জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে আমাদের করণীয়” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ এম.পি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর উপদেষ্ট মন্ডলীর সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দী, জাতীয় পার্টি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জাতীয় পার্টি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা কাজী আনোয়ারুল ইসলাম খান, আল্লামা খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী, বাংলাদেশ ত্বরিকত ফেডারেশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ মুহাম্মদ আলী ফারুক্বী প্রমুখ। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঞ্চালনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ আতাউর রহমান মিয়াজী, ডঃ আবদুল্লাহ আল মারুফ, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এইচ.এম নূর হোসাইন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ এমদাদুল হক, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর অর্থ সচিব এডভোকেট এম শাহীদুল আলম রিজভী, ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মনির হোসাইন, সি.সহ-সভাপতি এম. নাঈম উদ্দীন প্রমুখ।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাগণ ঐক্যমত পোষণ করে বলেন, শান্তির সমুজ্জল জীবনব্যবস্থা দ্বীন ইসলাম কখনোই উগ্রপন্থা ও জঙ্গিবাদ অনুমোদন করে না। জঙ্গিবাদীরা কখনোই মুসলিম হতে পারে না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মওদুদীবাদী জামাতী রাজাকাররা যেভাবে ইসলামের নাম দিয়ে হানাদার বাহিনীর দালালী করতে গিয়ে মা-বোনকে ধর্ষণ ও নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল, বর্তমানে জঙ্গিরা ঠিক সেভাবেই ইসলামের অপব্যাখ্যা করে নিরীহ মানুষ ও নারীদের হত্যার হোলি উৎসবে মেতে উঠেছে। জামায়াতের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় এরা সালাফিবাদ ও আহলে হাদীস মতবাদের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের প্রসার করছে। অন্যদিকে শিবির ও হিযবুত তাহরীর এর ক্রুদ্ধ জঙ্গিরা সরলমনা উচ্চবিত্ত ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ইসলামের নাম দিয়ে মগজ ধোলাই করে জঙ্গিবাদের দীক্ষা দিচ্ছে। তারা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, ইউটিউব, ফেসবুক সহ অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ প্রচার প্রসার করছে। সাথে সাথে তারা এদেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন ধ্বংস করে আহলে হাদীস ও সালাফীবাদের নামে নতুন মতবাদ ছড়িয়ে সরলপ্রাণ মুসলমান ও নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করে উগ্রপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে গড়ে তুলছে। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ইতিপূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে নানা সময়ের সাক্ষাতকার ও বৈঠকে জঙ্গিবাদ দমনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, অচিরেই এই জঙ্গিবাদী জামাত শিবির ও নব্য সালাফী আহলে হাদীস মতবাদীদের দমন না করা গেলে রাষ্ট্র ও জনগণকে চরম মূল্য দিতে হবে। তাই অবিলম্বে জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের আইন পাশ ও সালাফীবাদকে নিষিদ্ধ করাই সময়ের দাবী।

[related_post themes="flat" id="406"]